নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে বাংলাদেশের শুরু

নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে বাংলাদেশের শুরু

একুশে স্পোর্টস
বাংলাদেশ হারিয়ে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন একটা হুমকি দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডস দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। কোচ রায়ান কুকও ম্যাচের আগের দিন জানিয়েছিলেন, যে কোনো দলকে হারিয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস তাদের আছে। কিন্তু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে এডওয়ার্ডসের ‘হুমকি’ কিংবা কুকের ‘আত্মবিশ্বাস’ কোনোটাই কাজে আসেনি। ৮ উইকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের।

ডাচদের প্রথম ম্যাচে ‘যতটা গর্জে ততটা বর্ষে না’র দশা হলেও কোচ ফিল সিমন্সের কথা রেখেছেন লিটন দাস-তানজিদ তামিমরা। সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবিয়ান কোচ বলেছিলেন, ‘ভালো মানের ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা।’ প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান, ওভারপ্রতি ১০ রানেরও বেশি তুলে নেদারল্যান্ডসের ১৩৬ রান তাড়া করে ৩৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয়—অন্তত ভালো মানের ক্রিকেটেরই কথা বলে!

বল হাতে তাসকিনের ৪ উইকেটের পর লিটনের অপরাজিত ফিফটির সুবাদে সিলেটে হেসে খেলেই জিতেছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২৬ রানে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে (১৫) হারালেও তানজিদ তামিম আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে করেন ২৯ রান। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক লিটন দাস। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ২৯ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসানকে (৩৬*) নিয়ে ২৬ বলে লিটন ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। অব্যবহৃত বলের হিসেবে ডাচদের বিপক্ষে এটিই বড় জয় বাংলাদেশের।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। পুরো ২০ ওভার খেললেও ডাচ দলের রান আরও বড় না হওয়ার কারণ বাংলাদেশ বোলারদের আঁটসাঁট বোলিং। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ২৮ রানে তিনি তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

প্রথম ওভারে ৩ রান তুললেও পরের দুই ওভারে ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩ ও ৯ রান। তাতে তিন ওভারেই ডাচ দলের রান দাঁড়ায়—২৫। বিপিএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন ও’ডাউড। কিন্তু তাঁকে দলীয় ২৫ রানে তাঁকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ও’ডাউড ফিরে যান ১৫ বলে ২৩ রান করে। এরপর আরেক ওপেনার বিক্রমজিত সিংকেও (৪) ফেরান তাসকিন। তেজা নিদামানারুকে নিয়ে অবশ্য তৃতীয় উইকেটে একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ১৫ বলে ২৮ রান তুলে ফেলেছিল তাঁরা। কিন্তু আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে এডওয়ার্ডসকে (১২) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন এই ম্যাচ দিয়ে ২২ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফ হাসান। তাসকিনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন সাইফই। মাত্র ১ উইকেট পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৯ রান। ইকোনমি—৪.৭৫।

ওহ, বলাই হলো না, ডাচ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ বলে ২৬ রান করেছেন তেজা নিদামানুরু।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff